কেশবপুরের ঐতিহ্যবাহী ২নং সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের সাগরদাঁড়ি মধুমঞ্চ এ সৃষ্টিকুলের সর্বশেষ্ঠ মহামানব বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) এবং উম্মাহাতুল মুমিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) এর শানে কটুক্তি ও চরম অবমাননাকর মন্তব্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৮ জুন) বিকেলে অত্র সাগরদাঁড়ি এলাকাবাসী ও নবীপ্রেমিক তৌহিদী জনতার আয়োজনে সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের প্রাণ কেন্দ্র সাগরদাঁড়ি এম এম ইনস্টিটিউশন এর মাঠে মধু মঞ্চের সামনে ওই প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সমাবেশে মদিনাতুল উলুম সাগরদাঁড়ি মাদ্রাসার মুহতামিম আলহাজ্ব হাফেজ মোশারফ হোসেন সভাপতিত্ব করেন। হাফেজ মাওলানা আব্দুল হামিদের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হাফেজ মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ, মাওলানা আব্দুল হামিদ, হাফেজ মোশাররফ হুসাইন, মাস্টার আবুল কাসেম, শাহিনুজ্জামান মনির, হাফেজ আলমগীর, হাফেজ ফরিদ, মাওলানা নুরুল ইসলাম, মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ, মুফতি হাবিবুল্লাহ, ও মাওলানা শফিকুল ইসলাম প্রমূখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারতীয় ক্ষমতাসীন দল বিজেপির মুখপাত্র নুপুর শর্মা ও দিল্লি শাখার গণমাধ্যম প্রধান নবীন কুমার জিন্দাল কর্তৃক বিশ্ব নবী হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) কে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে অমার্জনীয় অপরাধ করেছেন। অনতি বিলম্বে নুপুর শর্মা ও নবীন জিন্দালকে গ্রেফতার করে ফাঁসি দিতে হবে। মহানবী (সাঃ) কে নিয়ে মন্তব্য করে সকল মুসলমানের কলিজায় আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। ভারতীয় সকল পন্য মুসলমানদের বর্জন করতে হবে। আমার দেশের সকল মুসলমান আজ থেকে আর ভারতীয় পন্য ব্যবহার করবেন না। এছাড়াও রাষ্ট্রীয় ভাবে নিন্দা জানানোর জন্য বাংলাদেশের সরকারের প্রতি আহবান জানান বক্তারা।

উক্ত সমাবেশে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা অংশগ্রহণ করেন। সমাবেশ শেষে মুসল্লীরা একটি প্রতিবাদ মিছিল করে, মিছিলটি মধু মঞ্চ থেকে শুরু করে সাগরদাঁড়ি বাজার দিয়ে, সাগরদাঁড়ি চৌরাস্তা হয়ে স্লুইস গেট পর্যন্ত যায়, পুনরায় আবার সাগরদাঁড়ি বাজারে এসে সমাপ্তি করেন।

উল্লেখ্য, ২৭ মে ভারতের একটি টিভি চ্যানেলে বিতর্কে অংশ নিয়ে বিশ্ব নবী হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) কে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা নুপুর শর্মা ও নবীন কুমার জিন্দাল। এরপর থেকে নুপুর শর্মা ও নবীন কুমার জিন্দালকে গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলমানরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে আসছে।